অসম কাঁদছে, রহস্য ঘনাচ্ছে,“জুবিন গর্গকে বিষ খাইয়ে খুন❗
"ম্যানেজার ও সহকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, তদন্তে নেমেছে হাইকোর্ট কমিশন”
সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা খাতে দেশের অন্যতম পিছিয়ে থাকা অঞ্চল।
তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটে ভরাডুবি।পৃথিবীর নবম আশ্চর্য: ৮০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র একজন শিক্ষক❗
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় আজ যেন পৃথিবীর নবম আশ্চর্যে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৮০০ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে পুরো বিদ্যালয়ে রয়েছেন মাত্র একজন শিক্ষক — এমন চিত্র যে কোনো সচেতন নাগরিকের বিবেক নাড়িয়ে দিতে বাধ্য।
১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টি এ বছর প্লাটিনাম জয়ন্তী অতিক্রম করছে। বেসরকারি থাকাকালীন সময়ে বিদ্যালয়টির সুনাম ছিল ঈর্ষণীয়। মানসম্মত শিক্ষক, নিয়মানুবর্তী শিক্ষা পরিবেশ এবং স্থানীয়দের আত্মিক সম্পৃক্ততা ছিল এই প্রতিষ্ঠানের মূল শক্তি। কিন্তু ১৯৮৭ সালে জাতীয়করণের পর থেকেই বিদ্যালয়টি ক্রমে সংকটে পড়ে।
জাতীয়করণের পর কেটে গেছে দীর্ঘ ৩৮ বছর, অথচ আজও প্রতিষ্ঠানটি স্থায়ী প্রধান শিক্ষক পায়নি। কয়েকজন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করলেও স্থিতিশীল নেতৃত্বের অভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমানে বিদ্যালয়ে অনুমোদিত শিক্ষকের সংখ্যা ১২ হলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৪ জন। এর মধ্যে একজন বদলির আদেশ পেয়েছেন, আরেকজন অন্যত্র চাকরি পেয়েছেন। ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই বিদ্যালয়ে মাত্র দুই শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হবে পুরো পাঠদান কার্যক্রম।
বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ও সহায়কের পদও শূন্য, ফলে প্রশাসনিক ও সহায়ক কাজও শিক্ষকদেরই করতে হয়। পাঠদান, অফিসের হিসাব-নিকাশ থেকে শুরু করে নানান প্রশাসনিক কাজ — সবকিছুই এখন ওই দুই শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কাঁধে।
স্থানীয় অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,
> “আমাদের সন্তানরা প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসে, কিন্তু পড়ানোর মতো শিক্ষকই নেই। বছরের পর বছর ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো সমাধান হয়নি।”
শিক্ষাবিদরা বলছেন, এই অবস্থা জাতীয়ভাবে উদ্বেগজনক। সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা খাতে দেশের অন্যতম পিছিয়ে থাকা অঞ্চল। অথচ এখানকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যালয়েই যদি শিক্ষক না থাকে, তবে মানসম্মত শিক্ষার আশা করাই অবাস্তব।
তারা আরও বলেন,
> “শিক্ষকবিহীন বিদ্যালয়ে উন্নত শিক্ষা সম্ভব নয়। এখন সময় এসেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার।”
বিশ্লেষকরা মনে করেন, অনগ্রসর এলাকার বিদ্যালয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে শিক্ষক পদায়নের একটি সুষম নীতি প্রণয়ন করতে হবে। তাহিরপুর এখন আর প্রত্যন্ত অঞ্চল নয় — জেলা সদর থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। তাই এখানে শিক্ষক থাকতে না চাওয়ার অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়।
স্থানীয়দের দাবি:-
> “সরকার এখনই যদি উদ্যোগ না নেয়, তাহলে এই বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।”
📢 দাবি
শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে এলাকাবাসীর একটাই অনুরোধ —
তাহিরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় যেন আর ‘নবম আশ্চর্য’ না থাকে, বরং হোক হাওরাঞ্চলের গর্ব ও মানসম্মত শিক্ষার আলোকবর্তিকা।
---
সুনামগঞ্জের হাওরপারের মানুষ এখন অপেক্ষায় — কবে তারা দেখবে তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক, কবে ফিরবে সেই গৌরবময় দিন।
"ম্যানেজার ও সহকর্মীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, তদন্তে নেমেছে হাইকোর্ট কমিশন”
মধ্যনগরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২০০ লিটার চোলাই মদ ও সরঞ্জাম জব্দ
মধ্যনগরে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনের যৌথ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ