৮০০ শিক্ষার্থীর বিপরীতে মাত্র একজন শিক্ষক❗
সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা খাতে দেশের অন্যতম পিছিয়ে থাকা অঞ্চল।
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট ২০২৫) দুপুর ১২টায় উপজেলা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন—
গত ২৮ মে দিবাগত রাতে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফের একটি বালুবাহী নৌকা চুরি হয়। সেই সময় তিনি ঢাকায় তারুণ্যের অহংকার জনাব তারেক রহমানের আহ্বানে অনুষ্ঠিত তারুণ্য সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকায় অবস্থানকালে নৌকা চুরির খবর শুনে তিনি মর্মাহত হন এবং বাড়ি ফিরে নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।
এর অংশ হিসেবে গত ২২ আগস্ট (শুক্রবার) সিলেটের গোয়াইনঘাট এলাকায় নৌকাটি পাওয়া যায়। কিন্তু নৌকা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাকে ও তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারকে জড়িয়ে শুরু হয়েছে বানোয়াট ও প্রতিহিংসামূলক মিথ্যা প্রচারণা।
মেহেদী হাসান বলেন,
> “স্বদেশ টিভি নিউজ, মধ্যনগরের বেখবর, মধ্যনগরের বিএনপির সংবাদ, মধ্যনগর খবরসহ বিভিন্ন ফেইক আইডি থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও প্রতিহিংসাপরায়ণ মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে পলাতক ডেবিলদের দোসরেরা। আমি এ ধরনের মিথ্যা সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমি জাতীয়তাবাদী দলের একজন পরীক্ষিত কর্মী এবং উপজেলা ছাত্রদলের আগামী দিনের সভাপতি প্রার্থী। তাই প্রতিদ্বন্দ্বীদের সহযোগিতায় আওয়ামী দোসররা আমার বিরুদ্ধে এই জঘন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে।”
তিনি প্রিয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দলীয় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বলেন—
> “মেহেদী হাসান বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে এই জঘন্য মিথ্যা বানোয়াট প্রচারণা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।”
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার বলেন—> “মেহেদী হাসান ছাত্রদলের নিবেদিত কর্মী। পতিত সরকারের দোসররা যাদের সহযোগিতায় এ মিথ্যাচার করছে, তা ঘৃণিত ও নিন্দনীয়।”
তিনি ফেইক আইডি থেকে মিথ্যা প্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—
জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ ফরিদ, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, ছাত্রনেতা তুহিন তালুকদার, রিপন, কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি অর্ণব তালুকদার এবং চামরদানি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক মো. আরাফাত প্রমুখ।
